1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. বিনোদন
  6. তথ্যপ্রযুক্তি
  7. সারাদেশ
  8. ক্যাম্পাস
  9. গণমাধ্যম
  10. ভিডিও গ্যালারী
  11. ফটোগ্যালারী
  12. আমাদের পরিবার
ঢাকা , সোমবার, ২০ মে ২০২৪ , ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

থানাকে না জানিয়ে আসামি ধরতে গিয়ে বরখাস্ত এএসআই

নিউজ ডেস্ক
আপলোড সময় : ২৩-০৩-২০২৪ ০১:০৪:১৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ২৩-০৩-২০২৪ ০১:০৪:১৮ পূর্বাহ্ন
থানাকে না জানিয়ে আসামি ধরতে গিয়ে বরখাস্ত  এএসআই

নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্মীপুরের কমলনগর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমিনুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে ওই ঘটনার সময় আলমগির হোসেন (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ উঠেছে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। আলমগির রামগতি উপজেলার চর বাদাম ইউনিয়নের চরসীতা গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক। কমলনগর থানার এএসআই আমিনুল ইসলাম কয়েকজন সোর্সকে নিয়ে আলমগির হোসেন নামে ওই ব্যক্তিকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে আটক করে তুলে নিয়ে যান।

তিনি কমলনগর থানার দায়িত্বে থাকলেও পার্শ্ববর্তী রামগতি থানাধীন চরসীতা গ্রামে গিয়ে ওই যুবককে আটক করে কমলনগরের ফজুমিয়ারহাট সংলগ্ন একটি নির্জন স্থানে আটক রেখে ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজন এবং আলমগিরের স্বজনদের সন্দেহ হয়।

পরে তারা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে জানতে পারেন- পুলিশ কর্মকর্তা আমিনুল থানার অনুমতি ছাড়াই ওই যুবককে আটক করেছেন। সেখানে এলাকার লোকজনের সঙ্গে এএসআই আমিনুলের ধ্বস্তাধস্তি হয়। এতে তিনি আহত হন। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নেন।

এ ঘটনাটি গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতের। পরদিন বুধবার (২০ মার্চ) তাকে বরখাস্ত করা হয়। আলমগীরের স্ত্রী শাহিদা বেগম বলেন, মঙ্গলবার রাত প্রায় ১০টার দিকে আমার স্বামী বাড়ির পাশের একটি দোকান থেকে সদাই কিনতে যান। এসময় ৪ থেকে ৫ জন লোক তাকে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যান। দোকানে থাকা লোকজন আমাদের বিষয়টি জানায়। পরে আমার স্বামীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলে অপরিচিত একজন রিসিভ করেন৷তিনি আমার স্বামীকে ছাড়িয়ে নিতে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে কমলনগরের ফজুমিয়ারহাট বাজারে পশ্চিমে যেতে বলেন।

তিনি বলেন, আমরা আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে সেখানে গিয়ে তাদের পরিচয় জিজ্ঞেস করলে তারা ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশের সদস্য হিসেবে পরিচয় দেয়। ওদের পরিচয়পত্র দেখাতে বললে টালবাহানা করে এবং আলমগিরকে ছাড়িয়ে নিতে টাকা দাবি করে। এর ফাঁকে ওই স্থানে আরও লোকজন জড়ো হয়। সবার সন্দেহ হলে ডিবি পুলিশ পরিচয়দানকারীদের এলাকার লোকজনের সঙ্গে হাতাহাতি ও হট্টগোল হয় ।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোহিদুল ইসলাম বলেন, কোনো আসামিকে ধরতে হলে থানার অনুমতি নিয়ে অভিযানে যেতে হয়। কিন্তু এএসআই আমিনুল অনুমতি না নিয়ে আসামি আটক করতে গেছে। এ জন্য তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Daily Sonali Rajshahi

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ